আমিনুল ইসলাম::
রামুর গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়া থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও পাচারের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা।
গত শনিবার থেকে ইউএনও প্রণয় চাকমা গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির সহায়তা নিয়ে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। শুরুতেই বালু ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহর একটি ট্রলি গাড়ি গর্জনিয়ার চেয়ারম্যানের জিম্মায় রাখার নির্দেশ প্রদান করেন। বর্তমানে সার্বিকভাবে বালু খেকোদের নজরে রেখেছে ইউএনও।
গর্জনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন- ইউএনও স্যারের মৌখিক নির্দেশে আব্দুল্লাহর ট্রলি গাড়ি ইউপি কার্যালয়ের সামনে নিজ জিম্মায় রাখা হয়েছে। ইউএনওর নির্দেশ ছাড়া ইউপি কার্যালয় থেকে এই গাড়ি কেউ বের করতে পারবে না।
এ প্রসঙ্গে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা বলেন- কচ্ছপিয়ার জাংছড়ি বালু মহাল থেকে বালু উত্তোলন না করতে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। উচ্চ আদালতে রীটকারি হলেন গর্জনিয়ার পশ্চিমবোমাংখিলের আবদুল্লাহ। অথচ আবদুল্লাহ এখন নিজেই আইন ভঙ্গ করে অবৈধভাবে বালু পাচার করছে। তাই তার ট্রলি গাড়ি আটকে রাখা হয়েছে। আগামীতে বালু পাচারের তথ্য পেলে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে স্থানীয়রা অভিযোগে জানিয়েছেন, আব্দুল্লাহ একটি সিন্ডিকেট তৈরী করে কিভাবে বালু উত্তোলন ও পাচার অব্যাহত রাখা যায় সেই ফন্দিফিকিরে ব্যস্ত সময় পার করছে। তাঁর সঙ্গে একাধিক বৈঠকে গর্জনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও কচ্ছপিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু মো.ইসমাইল নোমানকেও দেখা গেছে।
সূত্র জানিয়েছে- গর্জনিয়া ও কচ্ছপিয়ার দুই চেয়ারম্যানকে ব্যবহার করে উন্নয়নের নামে বালু উত্তোলন করে ফের অবৈধভাবে বালু পাচারের প্রস্তুতি নিচ্ছে আব্দুল্লাহ। এতে করে সরকার হারাবে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব।
আইনজ্ঞরা বলছেন- সড়কের উন্নয়নের জন্য বালু প্রয়োজন হলে অন্যস্থান থেকে আনা সম্ভব। সেই দায়িত্ব ঠিকাদারের। উচ্চ আদালতের নির্দেশ ভাঙা কঠিন অপরাধ। সেইসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
পাঠকের মতামত: